সহজেই অল্প সময়ে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম জেনে নিন

আমরা সকলে জানি যে বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং করার জন্য জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। দেশের সকল জায়গায় প্রায় সকল পেশার মানুষ বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে থাকে। বিকাশ জনপ্রিয় হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ বিকাশ ব্যবহার করে থাকে। বিকাশ ব্যবহার করার বিভিন্ন সুবিধা থাকায় এর ব্যবহারকারী অনেক বেশি। 

তবে অনেক বিকাশ ব্যবহারকারী রয়েছে যারা তাদের বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে চায়। অনেক সময় আমাদেরকে বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। যদি আপনি একজন বিকাশ ব্যবহারকারী হন তাহলে আপনাকে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম জানতে হবে। 

কারণ যদি আপনি বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার উপায় আগে থেকেই জানের তাহলে পরবর্তীতে যদি কখনো আপনার বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার প্রয়োজন হয় তাহলে খুব সহজেই বন্ধ করতে পারবেন। অনেকেই রয়েছেন যারা বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম জানেন না। 

তবে যারা বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার উপায় জানেন না তাদের নিয়ে আমার এই টিউটোরিয়াল। এই টিউটোরিয়ালে আমি আপনাদেরকে কিভাবে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে হয় তার নিয়ম দেখাবো। আশা করছি আপনারা পুরো টিউটোরিয়ালটি পড়লে খুব সহজেই আপনাদের বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করতে পারবেন। 

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার কারণঃ

আমরা অনেকেই বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে থাকি। বিকাশ একাউন্ট অনেক সুযোগ সুবিধা থাকার পরেও আমরা কখনো ভেবে দেখেছি যে এই বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা হতে পারে?? 

হ্যাঁ আমাদেরকে অনেক সময় বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। যেমন মনে করুন আপনি আপনার বিকাশ একাউন্টে আরেকজন ব্যক্তির এনআইডি কার্ড দিয়ে খুলেছেন। পরবর্তীতে আপনাকে অবশ্যই আপনার বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করতে হবে। 

কারণ বিকাশ একাউন্টের নাম্বার আপনার হলেও যদি সেই অ্যাকাউন্ট অন্য কারো এনআইডি কার্ড দিয়ে ভেরিফাই করে থাকেন তাহলে পরবর্তীতে ঝামেলা হলে যার এনআইডি কার্ড দিয়ে আপনার বিকাশ একাউন্ট খুলেছেন তাকে অবশ্যই লাগবে। এইজন্য আপনি কখনো চাইবেন না আপনার বিকাশ একাউন্টে ঝামেলা হলে অন্য কাউকে দিয়ে সেই সমাধান করতে। 

কারণ যদি আপনার বিকাশ একাউন্টের কোন ঝামেলা হয় তাহলে সেই বিকাশ একাউন্ট ঠিক করার জন্য অবশ্যই এনআইডি কার্ড প্রয়োজন হবে। যখন আপনি আপনার বিকাশ একাউন্ট ঠিক করার জন্য যার এনআইডি কার্ড দিয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন তাকে বলবেন তখন সে যদি ব্যস্ত থাকে অথবা আপনার হাতের নাগালে না থাকে তাহলে আপনার বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হয়ে থাকবে। 

এইজন্য যদি আপনি অন্যের এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্ট খুলে থাকেন তাহলে সেই বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করে নিজের এনআইডি কার্ড দিয়ে নতুন করে বিকাশ একাউন্ট খুলতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করে নিজের এনআইডি কার্ড দিয়ে একাউন্ট খোলা উচিত। 

এছাড়াও যদি আপনার বিকাশ একাউন্টের নাম্বার অর্থাৎ সিম হারিয়ে যায় তাহলে আপনাকে সেই বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই হারিয়ে যাওয়া সিম তুলতে হবে। তবে যদি আপনি হারিয়ে যাওয়া সিম না তুলে আরেকটা নতুন সিম কিনে সেই সিমে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই পুর্বের হারিয়ে যাওয়া নাম্বারে থাকা বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করতে হবে। এই ক্ষেত্র আপনাকে বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করার নিয়ম জানতে হবে।

এছাড়াও যদি আপনি বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করতে না চান অর্থাৎ মোবাইল ব্যাংকিং করার জন্য অন্যান্য যে সকল সেবা রয়েছে যেমন, নগদ, রকেট ইত্যাদি যদি ব্যবহার করতে চান তাহলে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে চাইতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার উপায় জানতে হবে। 

অর্থাৎ আমাদেরকে বিভিন্ন কারণে বিকাশ একাউন্ট ডিলেট করার নিয়ম জানতে হতে পারে। এইজন্য যদি আপনি আগে থেকে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম জানেন তাহলে পরবর্তীতে যখন আপনি বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে চাইবেন তখন খুব সহজেই বন্ধ করতে পারবেন। 

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার উপায়ঃ

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে পারবেন। বিকাশ একাউন্ট ডিলেট করার জন্য আপনাকে নিচের দেয়া নিয়মগুলো অবশ্যই জানতে হবে। 

তাহলে দেখে নিন বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করার সকল নিয়ম - 

• বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার জন্য প্রথমে আপনারা ১৬২৪৭ নাম্বারে কল করে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে কথা বলবেন। কথা বলার পর বিকাশ কাস্টমার কেয়ার থেকে যদি আপনাকে অফিসে যেতে বলে তাহলে আপনারা ঠিকানা নিয়ে সেই অফিসে চলে যাবেন।

• বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার জন্য অ্যাকাউন্টের মালিক কে বিকাশ অফিসে যেতে হবে। অর্থাৎ যদি আপনি আপনার বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে চান তাহলে আপনাকে সরাসরি বিকাশ অফিসে যেতে হবে। তবে আপনি যে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে চাচ্ছেন সেই বিকাশ একাউন্ট যার এনআইডি কার্ডের মাধ্যমে খুলেছেন তাকে অবশ্যই বিকাশ অফিস অথবা কাস্টমার কেয়ার যেতে হবে। অর্থাৎ যদি আপনার বিকাশ একাউন্ট আপনারই এনআইডি কার্ড দিয়ে খুলে থাকেন তাহলে আপনি আপনার এনআইডি কার্ড সহ বিকাশ অফিসে যাবেন। যদি আপনি বিকাশ একাউন্ট নিজের এনআইডি কার্ড দিয়ে না খোলেন অর্থাৎ অন্যের এনআইডি কার্ড দিয়ে খোলেন তাহলে সেই বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার জন্য যার এনআইডি কার্ড দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়েছিল তাকে অবশ্যই বিকাশ অফিসে যেতে হবে। 

• বিকাশ অফিসে যাওয়ার পর বিকাশ অফিসের লোকেরা আপনার বিকাশ একাউন্ট খোলার সময় যে এনআইডি কার্ড দিয়ে খুলেছিলেন তার তথ্য চাইবে। আপনি বিকাশ একাউন্ট খোলার সময় যে এনআইডি কার্ড দিয়ে একাউন্ট খুলেছিলেন সেই আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং যার এনআইডি কার্ড তাকে দেখাতে পারলে খুব সহজে আপনার বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করে দিবে। 

• তবে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার জন্য আপনার বিকাশের ব্যালেন্স জিরো করতে হবে। অর্থাৎ যদি আপনার বিকাশ একাউন্টে টাকা থাকে তাহলে সেই বিকাশ একাউন্ট আপনি বন্ধ করাতে পারবেন না। আপনার বিকাশ একাউন্টে টাকা থাকলে সেই টাকা অন্য কারো বিকাশ একাউন্টে সেন্ড মানি করে আপনার বিকাশ একাউন্ট একদম ফাঁকা রাখুন। 

• অতঃপর আপনার দেয়া সকল তথ্য যদি আপনার বিকাশ একাউন্টের সাথে মিলে যায় তাহলে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার থেকে আপনার বিকাশ একাউন্ট খুব দ্রুত বন্ধ করে দিবে। এরপর আপনারা একই নাম্বার এবং এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে আরেকটি নতুন বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন।

এই ছিল বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম। আমি আপনাদেরকে এই টিউটোরিয়ালে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার উপায় দেখিয়েছি। আপনারা উপরের নিয়ম অনুযায়ী খুব সহজেই বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করতে পারবেন। বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে চাইলে উপরের নিয়মগুলো অনুসরণ করলে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে কোনো ঝামেলা হবে না। 

আশা করছি বিকাশ একাউন্ট ডিলেট করার নিয়ম নিয়ে এই টিউটরিয়াল আপনাদের ভালো লাগবে এবং কাজে আসবে। যদি আপনাদের বুঝতে কোথাও সমস্যা হয় তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন। ইনশাআল্লাহ সমাধান দেয়ার চেষ্টা করব। এছাড়াও কিভাবে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে হয় সেটা নিয়ে এই টিউটরিয়াল যদি আপনাদের ভালো লাগে এবং কাজে আসে তাহলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।